প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী বাইরে থেকে আসে। সরকারী হিসেব মতে ২০০৩ সালে এসংখ্যা তিন লক্ষেরও বেশি। আমাদের দেশ থেকেও প্রতিবছর কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসে। তবে যোগ্যতা থাকলেও উপযুক্ত তথ্যের অভাবে আমাদের দেশের অনেকে ইচ্ছে সত্ত্বেও আসতে পারে না। অনেক সময় দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংস্হা বা মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়। এক্ষেত্রে শুধু অর্থ নয়, ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের জীবনের মূল্যবান সময়ও হারিয়ে ফেলে। এজন্য দরকার উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য।
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইট গুলোতে। কারন, সরকারী ওয়েবসাইট গুলোতে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক বিভিন্ন পরিবর্তন সংযোজন, ও বিযোজন গুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়। এছাড়া ‘আইডিপি অস্ট্রেলিয়া’ (International Development Program – Australia) আন্তর্জাতিক ভাবে অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর একমাত্র সমন্বিত প্রতিনিধি। বাংলাদেশে এর অফিস ঢাকার গুলশান ২ নম্বর গোল চক্কর থেকে অল্পদূরে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে (ফোন: ৯৮৮৩৫৪৫, ই-মেইল: info.dhaka@idp.com)।
‘অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষা’ (The Australian Education International) সংস্হার ‘স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া’ (Study in Australia) হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েব সাইট। এখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গূলোর নাম, বিভিন্ন বিষয়, পড়ালেখা ও থাকার-খাওয়ার খরচ, বৃত্তি, ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া, থাকা-খাওয়ার সুবিধা, ও অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিটি অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যেতে পারে।
অষ্ট্রেলিয়ায় বা অন্য যে কোন দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এজন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে হয়। আমি সর্বপ্রথম অষ্ট্রেলিয়ায় আসার জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু করি ২০০৩ সালে। সে সময় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে মাস্টার্সের গবেষণা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি ভর্তির আবেদন পত্রের সাথে বৃত্তির জন্যও আবেদন করি। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে আমার IELTS (International English Language Testing System) স্কোর আশানুরূপ না হলে অষ্ট্রেলিয়ার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির সুযোগ ও থাকা-খাওয়ার বৃত্তি পেলেও, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় টিউশন ফি ও মেডিকেল ইনসুরেন্স পরিশোধকারী IPRS (International Postgraduate Research Scholarships) বৃত্তি পাইনি। পরের বছর বাংলাদেশ থেকে IELTS-এ প্রয়োজনীয় স্কোর করতে সমর্থ হলে আমি পূর্ণ বৃত্তি লাভ করি।
এখানে স্নাতকোত্তর কোর্সগুলোতে প্রচুর গবেষণা বৃত্তি থাকলেও স্নাতকপূর্ব কোর্স গুলোতে বৃত্তি নেই বললেই চলে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি বিষয়ে মোট সিট ও বৃত্তির সংখ্যা নির্দিষ্ট। সাধারণত যেকোন বিষয়ে বৃত্তিসহ ভর্তির আবেদনকারীকে একই বিষয়ে বৃত্তিছাড়া ভর্তির আবেদনকারীর চেয়ে কয়েকগুন বেশি প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারণত কোনরূপ পক্ষপাতিত্ব না করে সকল আবেদনকারীদের মধ্য থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সবচেয়ে ভাল ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেয় ও এদের মধ্য থেকে শীর্ষস্হানীয় আবেদনকারীদেরকে নির্দিষ্ট সংখ্যক বৃত্তি দেয়।
বৃত্তি না পেলেও এখানে পার্টটাইম কাজের প্রচুর সুযোগ আছে। পার্টটাইম কাজ হিসেবে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামিং, টিউটরিং, মার্কিং ছাড়াও বাইরে অন্যান্য কাজ করা যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটি ও বছর শেষের লম্বা ছুটিতে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী) পার্টটাইম চাকুরী করে সারা বছরের পড়ালেখার খরচ যোগাড় করে। উল্লেখ্য, স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত হিসেবে এক জন ছাত্র বা ছাত্রী সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারে। বৃত্তি প্রাপ্তদের জন্য কোথাও (যেমন, মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে) সপ্তাহে ১৫ ঘন্টা। তবে বছর শেষের লম্বা ছুটিতে যে যত খুশি কাজ করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসার জন্য ছয়টি মূল ধাপ আছে। এগুলো হল – পড়ার পরিকল্পনা, বিষয় নির্বাচন, ভর্তির আবেদন, ভিসার আবেদন, দেশ ত্যাগের পূর্বে করণীয়, ও অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছার পর করণীয়। নিচে আমরা প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
১. পড়ার পরিকল্পনাঃ
সর্বপ্রথম একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে দেখতে হবে তার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কোন ধরনের কোর্স বা বিষয়ে সে আগ্রহী। মানে সে কোন বিষয়ে পড়া লেখা করতে চায়, তার বর্তমান যোগ্যতা কতটুকু, সে যে বিষয়ে আগ্রহী তা শেষ করতে কত সময় লাগবে, এবং সর্বোপরি সে কোথায় এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী তাও ঠিক করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়াতে চার ধরনের পড়ালেখার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রী আসতে পারে – বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী, কারিগরি ডিগ্রী, স্কুল-কলেজ, এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা।
এরপর প্রতিটি আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াকালীন সময়ে খরচের কথা আগেভাগে চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা করতে হয়। টিউশন ফি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ভেদে বিভিন্ন হয়। থাকা-খাওয়ার খরচও অস্ট্রেলিয়ায় জায়গাভেদে বিভিন্ন হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, ভিসার আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় খরচের সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হলে সাধারণত ভিসার আবেদন গ্রাহ্য হয় না। এখানে স্নাতকপূর্ব কোর্সের আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের বেশিরভাগ পুর্ণ খরচ দিয়ে পড়ালেখা করে, কারন স্নাতকপূর্ব কোর্সে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির সংখ্যা খুবই সীমিত ও তাদের জন্য কোন রকম ধার বা লোনের (loan) ব্যবস্হাও নেই। অনুরূপভাবে, ডিপ্লোমা ও অন্যান্য কোর্সগুলোতে বৃত্তি নেই বললেই চলে। তবে, স্নাতকোত্তর গবেষণাভিত্তিক কোর্সে বেশ কিছু বৃত্তি আছে, যেমন, IPRS, AusAid, গ্রেজুয়েট বৃত্তি ইত্যাদি।
২. বিষয় নির্বাচনঃ
অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের যে সকল বিষয়ে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ দেয়, সেগুলো থেকে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে নিজের পড়ার পরিকল্পনা অনুসারে একটিকে বেছে নিতে হয়। সরকারী ওয়েবসাইটে একটি বিষয় বাছাই করার পর এই বিষয়টি যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ আছে তাদের তালিকা পাওয়া যায়। এখান থেকে এক বা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করা যেতে পারে। এরপর দেখতে হবে এসকল বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পড়ার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীর কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ও খরচ কেমন হবে ইত্যাদি। যোগ্যতার পরিমাপ প্রতিষ্ঠানটির মান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
অনেক বিষয়ে (যেমন, এমবিএ) ভর্তির জন্য কাজের অভিজ্ঞতা একটি পূর্বশর্ত হতে পারে। এছাড়া ভর্তিচ্ছু একজন ছাত্র বা ছাত্রীর আগের একাডেমিক রেকর্ড ও ইংরেজি দক্ষতা (যেমন, IELTS) অস্ট্রেলিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ন্যুনতম চাহিদার কম হলে সাধারণত ভর্তি, বৃত্তি, বা ভিসা কোনটির আবেদনই বিবেচনা করা হয়না। উল্লেখ্য, বৃত্তির জন্য আবেদন করলে ইংরেজী ভাযায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা (IELTS স্কোর) ভর্তির আবেদন পত্রের সাথে পাঠাতে হয়।
৩. ভর্তির আবেদনঃ
একজন ছাত্র বা ছাত্রী একাধিক বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় যোগাযোগ করলে তারা সাধারণত ‘অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ’ (Application Package) পোস্ট করে পাঠিয়ে দেয়। পূরণকৃত আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীকে আগের একাডেমিক রেকর্ডের পূর্ণ বিবরণ (মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট) ও সনদ, ইংরেজী ভাষার যোগ্যতা (যেমন, IELTS স্কোর), ও অভিজ্ঞতার সনদ সংযোগ করতে হয়। এরপর আবেদনকারী তার আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্হানীয় এজেন্ট যেমন, আইডিপি অস্ট্রেলিয়ার (International Development Program – Australia) মাধ্যমে বা সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় পোস্ট করে পাঠাতে পারে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র পাওয়ার পরে আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলাফল জানায়।
৪. ভিসার আবেদনঃ
একজন আবেদনকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির অফার লেটার (Offer Letter) পেলে, স্টুডেন্ট ভিসার (Student Visa) জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ভিসা আবেদন ফি সহ জমা দিতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদনের পূর্বে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি পরিশোধ ও অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনুমোদিত যেকোন কোম্পানীর সাথে ১ বছরের মেডিকেল ইন্সুরেন্স করতে হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তির নিশ্চয়তা সনদ (eCoE – electronic Conformation of Enrolment) ইস্যু করে যা ভিসার আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হয়। এছাড়া, আবেদনকারীকে পড়ালেখার সময় খরচের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা ব্যাংকে আছে কিনা তার ব্যাংক হিসাব ভিসার আবেদেনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। উল্লেখ্য, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় খরচের যোগান তাদের বৃত্তি থেকে দেখাতে পারে। প্রাপ্ত বৃত্তি কোন খাতে (টিউশন ফি, মেডিকেল ইন্সুরেন্স, থাকা, খাওয়া) বছরে কত দিবে তা স্পষ্ঠভাবে অফার লেটারে উল্লেখ থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসার সব যোগ্যতা পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর জন্য প্রি-ভিসা (Pre-visa) ইস্যু করে। এসময় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে একজন অনুমোদিত ডাক্তারের কাছে মেডিকেল টেস্ট করতে হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করে। উল্লেখ্য, প্রাপ্ত স্টুডেন্ট ভিসায় পার্টটাইম কাজের অনুমতি না থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে পার্টটাইম কাজের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সাধারণত অনুমতি পাওয়া যায়।
৫. দেশ ত্যাগের পূর্বে করণীয়ঃ
ভিসা পাওয়ার পরে তারিখ ঠিক করে বিমানের টিকেট কিনতে হয়। সাধারণত কোর্স শুরু হওয়ার ১-২ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসে পৌঁছলে চলে। দেশ ত্যাগ করে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে আরও কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়। যেমন, অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার উপযুক্ত পোশাক যোগাড় করা ও প্রাথমিক ভাবে থাকা-খাওয়ার জন্য অন্যকোন কারও সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (যেমন, মোনাশ, মেলবোর্ণ, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে) আন্তর্জাতিক অফিস ছাড়াও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন বা মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন আছে। এদের সাথে যোগাযোগ করলে কোন সাহায্যকারী বন্ধু পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া অনেক সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিমান বন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসে। এজন্য প্রতিষ্ঠানকে আগে থেকে জানাতে হয়।
৬. পৌঁছার পর করণীয়ঃ
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে কাগজে কলমে ভর্তির শেষ ফরমালিটি শেষ করতে হয়। অনেকসময় কোর্স শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের (Orientation Program) আয়োজন করে যেখানে কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের এরকম প্রোগ্রামে উপস্হিত থাকা আবশ্যক। এছাড়া থাকা-খাওয়ার ব্যবস্হা ঠিক মতো না হলে, প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
(Collected) By Surzo