যোজক
প্রশ্ন: যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: যোজক: যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। যোজকের কাজ হলো একাধিক শব্দ, পদবন্ধ, বাক্যকল্প বা বাক্যকে জুড়ে দেওয়া বা সম্পর্কিত করা। যেমন:
এতগুলো বই আর খাতা ওই ব্যাগে ধরবে?
গ্লাসটা ভালো করে ধরো, নইলে ভেঙে যাবে।
অর্থ ও সংযোজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে যোজক শব্দকে নিচের ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো:
১. সাধারণ যোজক
২. বিকল্প যোজক
৩. বিরোধমূলক যোজক
৪. কারণবাচক যোজক ও
৫. সাপেক্ষ যোজক।
সাধারণ যোজক: যে যোজক দুটি শব্দ বা বাক্যকল্পকে জুড়ে দেয়, তাকে সাধারণ যোজক বলে। আর, এবং, ও, বা, কিংবা তথা—এগুলো সাধারণ যোজক। যেমন:
দুটি শব্দের সংযোগক: সুখ ও সমৃদ্ধি কে না চায়? অলি আর কলি একে অন্যের বন্ধু।
দুটি বাক্যকল্পের সংযোগ: আমাদের সমাজ আর ওদের সমাজ এক রকম নয়।
দুটি বাক্যের সংযোগ: জলদি দোকানে যাও এবং একটা পাউরুটি কিনে আনো।
বিকল্প যোজক: যে যোজক একাধিক শব্দ বা বাক্যকল্প বা বাক্যের বিকল্প নির্দেশ করে, তাকে বিকল্প যোজক বলে। যেমন: মৌসুমী হয় ট্রেনে, না হয় বাসে যাবে।
সারা দিন খুঁজলাম, অথচ কোথাও গরুটা পেলাম না।
বিরোধমূলক যোজক: যে যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টির সাহায্যে প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সংশোধন বা বিরোধ নির্দেশ করে, তাকে বিরোধমূলক যোজক বলে। যেমন:
এত বৃষ্টি হলো, তবু গরম গেল না।
তোমাকে খরব দিয়েছি, কিন্তু তুমি আসোনি।
কারণবাচক যোজক: যে যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ নির্দেশ করে, তাকে কারণবাচক যোজক বলে। যেমন:
জিনিসের দাম বেড়েছে, কারণ হরতাল-অবরোধ চলছে।
খুব ঠান্ডা লেগেছে, তাই আইসক্রিম খাচ্ছি না।
সাপেক্ষ যোজক: যে যোজক একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহূত হয়, তাকে সাপেক্ষ বা শর্তবাচক যোজক বলে। প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলোকে বলে নিত্যসম্বন্ধীয় অব্যয়। যেমন:
যত গর্জে তত বর্ষে না।
যথা ধর্ম তথা জয়।
প্রশ্ন: যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: যোজক: যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। যোজকের কাজ হলো একাধিক শব্দ, পদবন্ধ, বাক্যকল্প বা বাক্যকে জুড়ে দেওয়া বা সম্পর্কিত করা। যেমন:
এতগুলো বই আর খাতা ওই ব্যাগে ধরবে?
গ্লাসটা ভালো করে ধরো, নইলে ভেঙে যাবে।
অর্থ ও সংযোজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে যোজক শব্দকে নিচের ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো:
১. সাধারণ যোজক
২. বিকল্প যোজক
৩. বিরোধমূলক যোজক
৪. কারণবাচক যোজক ও
৫. সাপেক্ষ যোজক।
সাধারণ যোজক: যে যোজক দুটি শব্দ বা বাক্যকল্পকে জুড়ে দেয়, তাকে সাধারণ যোজক বলে। আর, এবং, ও, বা, কিংবা তথা—এগুলো সাধারণ যোজক। যেমন:
দুটি শব্দের সংযোগক: সুখ ও সমৃদ্ধি কে না চায়? অলি আর কলি একে অন্যের বন্ধু।
দুটি বাক্যকল্পের সংযোগ: আমাদের সমাজ আর ওদের সমাজ এক রকম নয়।
দুটি বাক্যের সংযোগ: জলদি দোকানে যাও এবং একটা পাউরুটি কিনে আনো।
বিকল্প যোজক: যে যোজক একাধিক শব্দ বা বাক্যকল্প বা বাক্যের বিকল্প নির্দেশ করে, তাকে বিকল্প যোজক বলে। যেমন: মৌসুমী হয় ট্রেনে, না হয় বাসে যাবে।
সারা দিন খুঁজলাম, অথচ কোথাও গরুটা পেলাম না।
বিরোধমূলক যোজক: যে যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টির সাহায্যে প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সংশোধন বা বিরোধ নির্দেশ করে, তাকে বিরোধমূলক যোজক বলে। যেমন:
এত বৃষ্টি হলো, তবু গরম গেল না।
তোমাকে খরব দিয়েছি, কিন্তু তুমি আসোনি।
কারণবাচক যোজক: যে যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ নির্দেশ করে, তাকে কারণবাচক যোজক বলে। যেমন:
জিনিসের দাম বেড়েছে, কারণ হরতাল-অবরোধ চলছে।
খুব ঠান্ডা লেগেছে, তাই আইসক্রিম খাচ্ছি না।
সাপেক্ষ যোজক: যে যোজক একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহূত হয়, তাকে সাপেক্ষ বা শর্তবাচক যোজক বলে। প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলোকে বলে নিত্যসম্বন্ধীয় অব্যয়। যেমন:
যত গর্জে তত বর্ষে না।
যথা ধর্ম তথা জয়।
No comments:
Post a Comment