যে সহে, সে রহে
মূল ভাব : এ জগতে যারা সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল তারাই কেবল টিকে থাকে। সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের স্বভাবের মধ্যে যতগুলো মহত্ বৈশিষ্ট্যের সম্মিলন ঘটে থাকে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলো ‘সহনশীলতা’। সহ্য করার শক্তিই আসল শক্তি। যার সহ্যশক্তি নেই, তার দ্বারা জীবনে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। মানুষের জীবন সংগ্রামমুখর। এখানে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হলে সহনশীলতার একান্ত প্রয়োজন। যারা ধৈর্যশীল, তারা এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ অর্থাত্ ধৈর্য ধরলে সুফল পাওয়া যায়। যেসব মনীষী জগতে খ্যাতি লাভ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জীবনে অন্তত এই একটি মহত্ মানবিক গুণের কঠোর অনুশীলনের দৃষ্টান্ত সহজেই চোখে পড়ে। যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশ বিদ্ধ করার পরও তিনি অসহিষ্ণু হননি। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনালেখ্য সহনশীলতার এক অনন্য দলিল। এসব ধৈর্যশীল মহামানবদের আদর্শ আমাদের চলার পাথেয়। বিপদে ধৈর্য ধারণ করা যেকোনো বুদ্ধিমান ও বিবেকবান মানুষের পক্ষে একান্ত প্রয়োজন। কোনো সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যদি কেউ ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তাহলে সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ তো মেলেই না, বরং সমস্যাটি আরো চেপে বসে। কারণ কোনো মানুষের জীবন সমস্যাশূন্য নয়। প্রতিনিয়ত তাকে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সামনে পড়তে হয়। চলতে গেলে বিপদ-আপদ, দুর্যোগ-দুঃসময় আসবেই। এ ধরনের প্রতিকূল অবস্থায় বেশির ভাগ মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। তার স্বাভাবিক বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়। সে দিশাহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রকৃত ধৈর্যশীল ব্যক্তি এ রকম দুঃসময়ে সাহস হারায় না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে, পরিস্থিতির বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই যথার্থ মানুষের কাজ। তাই জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে সহনশীলতার একান্ত প্রয়োজন। মন্তব্য : জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সহনশীলতার বিকল্প নেই। সহিষ্ণুতার চর্চা ছাড়া সাফল্য লাভ অসম্ভব। ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের প্রকাশ মূল ভাব : পরের জন্য ত্যাগের মাধ্যমেই মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সম্প্রসারিত ভাব : সুখ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ভ্রান্তিজনক। তারা ভোগ-বিলাসিতা, দৈহিক আরাম-আয়েশকে সুখের উত্স ও মাধ্যম বলে মনে করে। আর তাই ভোগ-বিলাসের নানা উপকরণ আয়ত্তে আনার জন্য তাদের চেষ্টার শেষ থাকে না। ভোগের ধর্ম এই যে আরো ভোগাকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। ফলে সৃষ্টি হয় গভীর অতৃপ্তির। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ভোগাকীর্ণ জীবন চূড়ান্ত বিচারে সুখ নিশ্চিত করতে পারে না। ভোগই যদি সুখের আকর হতো, তবে বিত্ত ও ক্ষমতাবানরাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বলে গণ্য হতেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তাঁরাও জীবনে সুখী হতে পারেন না। আসলে ভোগের মাধ্যমে জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কিন্তু যাঁরা নিজের জন্য ভাবেন না, পরের মঙ্গলের জন্য জীবন উত্সর্গ করেন, তাঁরাই পান মানুষের স্বীকৃতি। রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমে তাঁরা লাভ করেন অমরত্ব। ত্যাগের মহিমা দ্বারা তাঁরা গৌরবের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাই ভোগে কখনোই তৃপ্তি মেটে না। সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় ত্যাগের মাধ্যমে। মানুষ যদি অপরের কল্যাণে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উত্সর্গ করে তাহলে তার চরিত্রে মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটে। মন্তব্য : অপরের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই আছে চরম সার্থকতা। তাই জীবনের সার্থকতা ভোগে নয়, ত্যাগে। -
মূল ভাব : এ জগতে যারা সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল তারাই কেবল টিকে থাকে। সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের স্বভাবের মধ্যে যতগুলো মহত্ বৈশিষ্ট্যের সম্মিলন ঘটে থাকে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলো ‘সহনশীলতা’। সহ্য করার শক্তিই আসল শক্তি। যার সহ্যশক্তি নেই, তার দ্বারা জীবনে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। মানুষের জীবন সংগ্রামমুখর। এখানে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হলে সহনশীলতার একান্ত প্রয়োজন। যারা ধৈর্যশীল, তারা এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ অর্থাত্ ধৈর্য ধরলে সুফল পাওয়া যায়। যেসব মনীষী জগতে খ্যাতি লাভ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জীবনে অন্তত এই একটি মহত্ মানবিক গুণের কঠোর অনুশীলনের দৃষ্টান্ত সহজেই চোখে পড়ে। যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশ বিদ্ধ করার পরও তিনি অসহিষ্ণু হননি। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনালেখ্য সহনশীলতার এক অনন্য দলিল। এসব ধৈর্যশীল মহামানবদের আদর্শ আমাদের চলার পাথেয়। বিপদে ধৈর্য ধারণ করা যেকোনো বুদ্ধিমান ও বিবেকবান মানুষের পক্ষে একান্ত প্রয়োজন। কোনো সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যদি কেউ ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তাহলে সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ তো মেলেই না, বরং সমস্যাটি আরো চেপে বসে। কারণ কোনো মানুষের জীবন সমস্যাশূন্য নয়। প্রতিনিয়ত তাকে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সামনে পড়তে হয়। চলতে গেলে বিপদ-আপদ, দুর্যোগ-দুঃসময় আসবেই। এ ধরনের প্রতিকূল অবস্থায় বেশির ভাগ মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। তার স্বাভাবিক বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়। সে দিশাহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রকৃত ধৈর্যশীল ব্যক্তি এ রকম দুঃসময়ে সাহস হারায় না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে, পরিস্থিতির বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই যথার্থ মানুষের কাজ। তাই জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে সহনশীলতার একান্ত প্রয়োজন। মন্তব্য : জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সহনশীলতার বিকল্প নেই। সহিষ্ণুতার চর্চা ছাড়া সাফল্য লাভ অসম্ভব। ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের প্রকাশ মূল ভাব : পরের জন্য ত্যাগের মাধ্যমেই মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সম্প্রসারিত ভাব : সুখ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ভ্রান্তিজনক। তারা ভোগ-বিলাসিতা, দৈহিক আরাম-আয়েশকে সুখের উত্স ও মাধ্যম বলে মনে করে। আর তাই ভোগ-বিলাসের নানা উপকরণ আয়ত্তে আনার জন্য তাদের চেষ্টার শেষ থাকে না। ভোগের ধর্ম এই যে আরো ভোগাকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। ফলে সৃষ্টি হয় গভীর অতৃপ্তির। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ভোগাকীর্ণ জীবন চূড়ান্ত বিচারে সুখ নিশ্চিত করতে পারে না। ভোগই যদি সুখের আকর হতো, তবে বিত্ত ও ক্ষমতাবানরাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বলে গণ্য হতেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তাঁরাও জীবনে সুখী হতে পারেন না। আসলে ভোগের মাধ্যমে জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কিন্তু যাঁরা নিজের জন্য ভাবেন না, পরের মঙ্গলের জন্য জীবন উত্সর্গ করেন, তাঁরাই পান মানুষের স্বীকৃতি। রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমে তাঁরা লাভ করেন অমরত্ব। ত্যাগের মহিমা দ্বারা তাঁরা গৌরবের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাই ভোগে কখনোই তৃপ্তি মেটে না। সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় ত্যাগের মাধ্যমে। মানুষ যদি অপরের কল্যাণে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উত্সর্গ করে তাহলে তার চরিত্রে মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটে। মন্তব্য : অপরের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই আছে চরম সার্থকতা। তাই জীবনের সার্থকতা ভোগে নয়, ত্যাগে। -
No comments:
Post a Comment